এক কথায়
Pythonভাষাটি বর্তমান সময়ে আধুনিক টেকনোলজি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ইউজ করা হয়। এর জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এটি খুবই বিগিনার ফ্রেন্ডলি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। সহজেই এটি শেখা যায়। এর কোর সিনট্যাক্স ও সেমান্টিক্স খুবই সংক্ষিপ্ত, তবে স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি অনেক সমৃদ্ধ। বিগিনার হিসেবে কেউ প্রোগ্রামিং শুরু করতে চাইলে পাইথন শেখা বেশ ভালো সিদ্ধান্ত হবে।
পাইথন শিখে কী কী করতে পারবেন?
• অ্যাপ ও ওয়েবসাইট তৈরি: বর্তমানে প্রোগ্রামারদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পাইথন। এতে Flask, Django ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় Web framework থাকায় অনেক সহজেই পাইথন দিয়ে অ্যাপ ডেভেলপ করা যায়। এছাড়া ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অধিকাংশ কাজই (যেমন: সার্ভার ইন্টারকানেক্টিং, ডেটা প্রসেসিং, ডেটাবেস তৈরি, সিকিউরিটি প্রদান ইত্যাদি) পাইথন দিয়ে করার সুযোগ থাকায় ওয়েবসাইট তৈরির জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়।
• সিস্টেম স্ক্রিপ্টিং ও অটোমেশন: যে কাজগুলো আমাদের নিয়মিত করতে হয় সেগুলো যদি অটোমেশন করা যায় তাহলে অনেক সময় সাশ্রয় হয়ে যায়। আর এই অটোমেশনের জন্য কোড লেখাকে বলা হয় স্ক্রিপ্টিং। অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষার তুলনায় পাইথন ব্যবহার করে অতি দ্রুত ও অল্প কথায় স্ক্রিপ্ট তৈরি করা যায়। Content downloading, email sending, file converting, error finding ও text correction ইত্যাদির মতো দৈনন্দিন ব্যবহৃত টাস্কগুলোর অটোমেশন তৈরি করতে পাইথন ব্যবহার করা হয়।
• মেশিন লার্নিং ও এআই: আধুনিক প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে মেশিন লার্নিং ও এআই (Artificial Intelligence) সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কার। ২০২২ সালের শেষের দিকে সারা বিশ্বজুড়ে তোলপার ফেলে দেওয়া AI প্রযুক্তি ChatGPT তৈরির পেছনে মূল প্রোগ্রামিং ভাষা হলো পাইথন। এতে রয়েছে TensorFlow, Kyras, Pytorch এর মতো অসংখ্য লাইব্রেরি, যেগুলো মেশিন লার্নিং ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপারদের জন্য কাজের বিশাল সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
• ডেটা এনালাইসিস: জটিল সমীকরণ সমধান, ডেটা এনালাইসিস, ডেটা ম্যানুপুলেশন, ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি ইত্যাদি জন্য ডেটা এনালিস্টসহ সংশ্লিষ্ট পেশায় জড়িতদের কাজকে আরও সহজ করে দিয়েছে পাইথন। এটি ব্যবহার করে Bar Graph, Pie Chart, Histogram, 3D Plot সহ অনেক ধরনের ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি করা যায়। এমনকি বেশিরভাগ Data Mining ও Data Analytics সফটওয়্যার তৈরি করা হয় পাইথন ব্যবহার করে।
• সফটওয়্যার প্রোটোটাইপ টেস্টিং: যেকোনো সফটওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে কতগুলো পরীক্ষামূলক কাজের মধ্যে Build control, Bugs tracking and testing অন্যতম। আর এই কাজগুলোকে মূলত Software Prototype Testing বলা হয়। পাইথনে Green ও Requestium এর মতো টুল ব্যবহার করে নতুন কোনো সফটওয়্যার তৈরির কাজ সম্পন্ন করার পূর্বে সহজেই তার প্রোটোটাইপ টেস্টিং করা যায়।